শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালীগঞ্জে ইউপি সদস্যের অপকর্ম

জমি দখলসহ মাদকের সওদাগর

স্টাফ রিপোর্টার, কালীগঞ্জ : গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক ইউপি সদস্য ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা সহোদরের জমিসহ এলাকায় মাদকের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবলু রোজারিও একটি বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় জমি দখলসহ মাদকের সওদাগরি বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, সাধারন মানুষের জমিতে তার লোলুপ দৃষ্টি পড়লেই সেই জমি তার হয়ে যায়। জমি দখলের কুদৃষ্টি থেকে রেখাই পায়নি সহোদর এনড্রো বাদল রোজারিও’র জমিও।
বাদল রোজারিও জানায়, নাগরী ইউনিয়নের মঠবাড়ি মৌজাস্থ সাড়ে ৮৭ শতাংশ জমি তার পিতা আলফ্রেড রোজারিও’র কাছ থেকে ১৯৯৩ সালে ডিসেম্বর মাসে ১৮ তারিখে বায়না দলিলের প্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে এপ্রিল মাসের ৭ তারিখে সাফ কবলা দলীল মূলে মালিক হোন। সেই জমিতে ঘর নির্মান করতে গেলে ইউপি সদস্য বাবলু রোজারিও তার সন্ত্রাসী বাহিনীসহ জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে নির্মান কাজে বাধা দেয়। এ সময় ভাতিজা তিলক রোজারিও প্রতিবাদ করলে দেশীয় অস্ত্রে¿ সজ্জিত বাহিনী তাকে শারীরিকভাবে প্রহার করে। স্বামীকে প্রহারের প্রতিবাদ করলে স্কুল শিক্ষক স্ত্রী প্রনতি রোজারিও’র উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। এ ব্যাপারে বাবলুসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে যায়। কিন্তু থানায় মামলা না নিলে বাধ্য হয়ে ভূক্তভোগী নির্যাতিত বাদল রোজারিও’র পরিবার গাজীপুর জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা বাবলু রোজারিওকে আদালতে দোহাই দিলেও তিনি সেই দোহাইয়ের কোন প্রকার তোয়াক্কা করেননি। উপরোক্ত আরো বাংলা ফিল্মের ভিলেনদের মতো করে বলেন, কিসের আদালত? এ এলাকায় আমি যা বলবো সেটাই বলবৎ থাকবে। আমার আদালতেই সকল সিদ্ধান্ত হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাদল রোজারিও’র বাড়িতে বর্তমানে নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। বন্ধের কারণ জানতে চাইলে বাদল রোজারিও প্রতিবেদকে জানায়, বাবলুর অনুমতি ছাড়া ঘর নির্মাণ করতে পারবনা বলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। যে কোন সময় বাবলু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ক্ষতি সাধন করতে পারে। 
ভূক্তভোগী বাদল রোজারিও’র বড় ছেলে অলক রোজারিও জানায়, তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে রেহাই পেতে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৎকালীন গাজীপুর জেলার এসপিকে বিষয়টির তদন্তভার দেন। ইউপি সদস্য বাবলু রোজারিও’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্টমন্ত্রী কাছে অভিযোগ করায় তিনি আগের চেয়ে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে সহোদরের পরিবারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।
এছাড়াও এলাকার একাধীক সূত্র জানায়, ক্ষমতার দাপটে নিজে সব সময় থাকেন মাদকাসক্ত। সন্ধ্যার পর লিপ্ত থাকেন জুয়ায়। তার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরি এবং আদালতে মামলা দায়ের হলেও স্থানীয় থানা প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সে আসলেই সওদাগরি বানিজ্যে থানা পুলিশকে কিনে নিল কিনা? তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যারা অভিযোগ করেছে, সে নিজ বাহিনী দ্বারা তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে বলেও সূত্র জানায়। সূত্র আরো জানায়, বাবলু রোজারিও স্ত্রী নিজ বাড়ী ছেড়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ থাকেন ঢাকায়। আর সেই সুযোগে তিনি বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের ভেতরে নিজ বাড়ীতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম বীর দর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। 
এ ব্যাপারে বাবলু রোজারিও’র সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানায়, যে জমিতে বাদল রোজারিও ঘর নির্মান করছে সে জমি তার নয়। আমার আরেক ভাই নির্মল রোজারিও’র জমি। যার দেখবালের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে। আর সেই জমিতে সে অন্যায়ভাবে ঘর নির্মান করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে আপনারা লেখার কারণে যদি আমার ফাঁসি হয় তবে হউক।