শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কলাম

ছিন্ন ভিন্ন জিয়া পরিবারের গন্তব্য কোথায় ?

॥ এম.এ. ফরিদ ॥

সবাইকে একদিন এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। কেউ চীরঞ্জীব হয়ে থাকবে না। তবে সবার চলে যাওয়াটা মানেই পৃথিবী থেকে নিশ্চিন্ন হয়ে যাওয়া নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ওই হারিয়ে না যাওয়াদের মধ্যে অন্যতম একজন। স্বাধীনতা বিরোধীরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করলেই মনে হয় এ দেশ থেকে তাঁর নাম নিশানা মুছে যাবে। কিন্তু তাদের অবাঞ্চিত ধারণাটি ছিল অবান্তর। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু আরো একশত গুণ বেশি শক্তিশালী সেটা তাঁরা বুঝতে পারে নাই। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া এলাকার নিভৃত পল্লীতে সমাহিত করেছিল। তাঁরা মনে করেছিল এই নিভৃত পল্লীতে বঙ্গবন্ধুকে রেখে গেলে হয়তো এ দেশের মানুষগুলো তাঁকে একদিন ভূলে যাবে। হায়রে মূর্খের দল। তোরা কি একবারও ভাবলি না চাঁদ, সূর্য পৃথিবী থেকে লক্ষ কোটি মাইল দূরে উদিত হয়। যত দূরেই চাঁদ, সূর্য উদিত হোক না কেন মানুষ তো দেখবেই। বঙ্গবন্ধু হল সেই মহান পুুরুষ যাকে বাঙালি জাতির নিকট থেকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তিনি হলেন আলোকিত চন্দ্রের মতো। তাঁর আলোয় উদ্ভাসীত আমাদের প্রাণের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। খুনীরা আজ অনেকেই করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকের ফাঁসি হয়েছে। আবার অনেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভিন্নদেশে। ওদের এখন নাম নিশানা পর্যন্ত নেই পবিত্র বাংলার মাটিতে। অথচ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এখনও সমহিমায় আমাদের বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে আছেন। যতদিন বাংলাদেশ নামক দেশটি থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর কৃর্তি এ দেশে বেঁচে থাকবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সেই নিভৃত পল্লী এখন আলোকের ঝর্ণা ধারায় উজ্জল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশসহ সারাবিশ্বে। সারা দেশ এবং বিশ্বের বহু দেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা তাঁর দর্শন ও সান্নিধ্য পেতে প্রতিদিনই আসছেন সমাধীস্থলে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নরপিশাচরা ভেবেছিল তাঁর আদর্শকেও এ দেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে। আদৌ কি তা সম্ভব? মোটেও না। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্রের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে আবার জাগিয়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা কেবল আমাদেরকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিচ্ছেন না তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে বিশ্বের দরবারে বুকটান করে, মাথা উচু করে দাঁড়াতে হয়। কারণ তিনি আমাদের বলেছেন, বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালি জাতি জানে কিভাবে ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যায়। বাংলা এখন বঙ্গবন্ধুুর সোনার বাংলা। চারদিকে এখন শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে তিনি আমাদের দেখছেন। আমাদের এ উন্নয়নে তিনি খুশি। তার আতœা শান্তি পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক নন, তিনি সফল রাজনীতিবিদ। তাইতো এ দেশের মানুষ শুধু তাঁকে নয় তাঁর পুরো পরিবারকে আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। অথচ হারিয়ে যাচ্ছে জিয়া পরিবার। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে জিয়া পরিবারের প্রতিটি সদস্য। এ পরিবারের সবাই যেন হাইপার টেনশনে ভূগছেন। ভূগবেনই বা না কেন। তাঁদের শুরুটা যে অবৈধ পন্থায়। শত শত সেনা সদস্যকে হত্যা করে ক্ষমতার পথ সৃষ্টি করেছিলেন তৎকালিন মেজর জিয়া। ক্ষমতায় যেতে বহু মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারকে রাতের আধারে হত্যা করে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পবিত্র রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছিলেন মেজর জিয়া। অখ্যাত এই মেজর বঙ্গবন্ধুর আর্শিবাদ নিয়ে তাঁর সংসার জীবন শুরু করেছিলেন। না হলে বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। ওদিকে যেতে চাই না। পুরানো কাসন্দি ঘেটে গন্ধ ছড়ানোর মানেই হয় না। কারণ জিয়া পরিবারের চাঞ্চল্যকর অনেক নাটকের কথা এদেশের সচেতন অনেক মানুষ ভালোভাবেই জানেন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এটি একটি সতসিদ্ধ উক্তি। ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনীরা চেয়েছিল এদেশকে আবার পাকিস্তানী কায়দায় পরিচালনা করবার। তাঁদের সেই স্বপ্ন সাধ বেশি দিন টিকে থাকেনি। ৮১ সালে ক্ষমতার অন্তর দ্বন্দে নিহত হন জেনারেল জিয়া। ৭৫ থেকে ৯০ পর্যন্ত দেশ শাসন হতো কখনো পাকিস্তানী প্রেতাতœাদের দ্ধারা আবার কখনও সেনা শাসকের দ্ধারা। জিয়া পরিবার দুবার এ দেশে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের পূনর্বাসন করে শহীদদের রক্তের সঙ্গে এরা বেঈমানি করে। শুধু তাই নয় । ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকেও কলংঙ্কিত করে জিয়া পরিবার। পরিবারটি যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে জাতির পতাকা তাঁদের হাতে তুলে দেয়। লজ্জা আর ক্ষোভে ফুসে ওঠে জাতি। বিদায় করে দেয় ক্ষমতার মসনদ থেকে। মানুষের অভিশাপে পুরো পরিবার নিঃশেষ হতে থাকে। দুর্নীতির মামলায় জিয়ার দু ছেলে দেশ ছেড়েছে বহু আগে। বেগম জিয়া এতিমদের টাকা মেরে দিয়ে এখন নিজেই অসুস্থ। জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসবাস করছেন। তারেক জিয়ার অপকর্মের কথাও সবার জানা। তার খাম্বা বানিজ্যসহ নানা অপকর্মের জন্য তিনি ইতোমধ্যে বিখ্যাত হয়েছেন। পালিয়ে কতদিন বিদেশ বিভূইয়ে কাঁটাবেন তা জানেন তার অন্তর আতœা। আর এক ভাই আরাফাত রহমান এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন অনেক আগেই। অনেক আগে বলতে এখানে আমি বোঝাতে চেয়েছি এ লেখাটি লেখার ৩/৪ দিন আগে। তাকে নিয়ে না হয় নাইবা লিখলাম। কারণ তিনি এখন আমাদের কাছে অতিত। এখন আমি যা বলতে চেয়েছি তা হলো, মানুষ পুড়িয়ে মেরে বেগম জিয়া নিজেই এখন অফিস কুনো হয়ে বসে আছেন। কবে বের হবেন তা বলতে পারবেন তাঁকে যিনি এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তবে পাপ কাউকে ছাড় দেয় না। এখন জিয়া পরিবারের প্রদীপ নিভূ নিভূ করছে। হঠাৎ একটা ধমকা হাওয়ায় যে কোনো মূহুর্তে শেষ হয়ে যাবে জিয়া পরিবারের অস্তিত্ব। শেষ হবে জিয়া পরিবারের ঘৃণিত উপখ্যানের। সে অপেক্ষায় দেশ বাসীর সঙ্গে আমিও তাঁদের একজন হয়ে তাকিয়ে রইলাম মহান সৃষ্টিকর্তার দিকে।