শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালিয়াকৈরে শিশু অপহরণের ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি, ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের আন্দার মানিক গ্রাম থেকে শিশু নিরব(৪বছর ৯মাস) অপহরন হওয়ার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি তাকে উদ্ধার করা সন্বভ হয়নি। এ দিকে অপহরনকারীরা অপহৃত শিশু নিরবের বাবার মোবাইলে ২লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করছে। পুলিশ র‌্যাবকে জানিয়ে কোন কাজ হচ্ছেনা বলে ওই পরিবারের অভিযোগ। নিরব কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানার হোগলা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। সে তার মা বাবার সাথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক এলাকার আজিম বেপারীর বাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকতো।
অপহৃত শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার হোগলা গ্রামের মৃত সের আলীর ছেলে সাহেব আলী দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক এলাকার আজিম বেপারীর বাড়ীতে স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ছেলে নিরকে নিয়ে ভাড়া থেকে স্থানীয় কারখানায় চাকুরি করে আসছে। গত ১৪ জানুয়ারী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে শিশু নিরব নিখোঁজ হয়। অনেক খুঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে নিরবের সন্ধান পেতে এলাকায় মাইকিং করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এঘটনায় ওই দিনই অপহৃত শিশুর বাবা সাহেব আলী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।পরে একটি জাতীয় দৈনিকে নিখোজ সংবাদ প্রকাশ করা হয়।  অপরদিকে গত ১৬ জানুয়ারী  রাত ৩ টার দিকে ০১৮৬৭৮৩৮০৪২ মোবাইল নাম্বার থেকে অহৃত শিশুর বাবা সাহেব আলীর মোবাইলে ফোন করে বলা হয় তোর ছেলে আমাদের কাছে আছে। তাকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলেকে পেতে হলে দুই ঘন্টার মধ্যে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। নইলে তোর ছেলের লাশ পাঠিয়ে দিব। আগামীকাল সকাল ৫টার মধ্যে টাকা পাঠিয়ে দিবি। ১ মিনিট দেরি হলে ছেলেকে জীবিত রাখবনা। পুলিশ সাংবাদিকদের কাছে বার বার যাইতাছস কেন। কোন লাভ হবে না। তোর ছেলেকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখা হয়েছে। মনে রাখিস টাকা দিতে দেরি হলে ঘুমের মধেই তোর ছেলেকে মেরে ফেলা হবে। কথামত কাজ করলে আধাঘন্টার মধ্যে তোর ছেলে তোদের ঘরের দরজার সামনে দেখতে পাবি। এখনই বিকাশ করে ফেল।  মুক্তিপনের টাকার জন্য এভাবেই মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে অপহরণকারীরা।
 পরে মুক্তিপনের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে থানার ওসি(তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি তদন্তের জন্য মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলামকে নির্দেশ দিলেও  তিনি না গিয়ে ফাঁড়ির এ এসআই নায়েবুলেেক বিষয়টি দেখতে বলেন। গত শনিবার এ এস আই নায়েবুল কয়েকজন পুলিশ নিয়ে  অপহৃত শিশুর বাড়ীতে গিয়ে অপহরণকারীদের মোবাইলের রেকর্ড শুনেন এবং আশপাশের বাড়ীর লোকজনের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরে তিনি অপহৃত শিশুর পরিবারকে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের কাছে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। পুলিশের কথামত ওই দিনই উত্তরা র‌্যাব-১ কার্যালয়ে গেলে বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি আমাদের কাছে হস্তান্তর না করলে  এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবেনা। পরে ব্যর্থ হয়ে চলে আসেন তারা।
অপহৃত শিশুর বাবা সাহেব আলী  বলেন, অপহণকারীদের দাবিকৃত টাকা সময়মত দিতে না পারলে ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে। তাদের দাবিকৃত টাকা জোগার করা আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তার পরও ছেলেকে জীবিত ফিরে পাওয়ার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  থানায় জিডি করেছি,পত্রিকায় নিখোজ সংবাদ দিয়েছি। উওরা র‌্যাব কার্যালয়ে গিয়েছি। বারবার থানার সাথে যোগাযোগ রাখছি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,  বিষয়টি জানার পর অপহৃত শিশুর পরিবারকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে। এছাড়া অপহরনকারীদের মোবাইলের সুত্র ধরে শিশুটিকে উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।