শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় টঙ্গী ইজতেমা মাঠে আসা ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা লোকসানের মুখে

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ঢাকা চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা লোকসানের মুখে। হরতাল অবরোধের কারনে ছোট মাঝারি বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীরা ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের আশ পাশে লাখ লাখ টাকা দিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য অস্থায়ী দোকান ও ভিট ভাড়া নিয়ে লোকসানের মুখে রয়েছে। সরকার দলীয় কতিপয় ব্যাক্তি মন্নুমাঠ হোন্ডারোড,কাদেরিয়া স্কুলমাঠ,অলম্পিয়ামাঠ দুই সপ্তাহের জন্য ইজারা নিয়ে  কোন নীয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। 
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, শ্রমিকলীগের সহসভাপতি মিন্নাত আলী মিনু নিউ মন্নু ফাইন কটন মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রমিক নেতা গনি মিয়া ও মিলস্রে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানকে ম্যানেজ করে মন্নুমাঠ মাত্র১২লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে দুই শতাধিক দোকান বসিয়ে পাঁচহাতের একটি অস্থায়ী ভিট (দোকান) দুই সপ্তাহের জন্য ৩০থেকে ৩৫হাজার টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এছাড়া প্রতি দোকান থেকে একটি বাল্ব জ্বালানো বাবদ প্রতিদিন দু’শ টাকা বিদুৎ বিল নিচ্ছে। অপরদিকে অলম্পিয়া মিলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওয়ামীলীগ নেতা বিকম মতিকে  ম্যানেজ করে অলম্পিয়া মাঠ নাম মাত্রই ইজারা নিয়ে মিন্নাত আলী মিনুর ছেলে মো.আলী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এবিষয়ে মন্নুমাঠের এক হোটেল ব্যবসায়ী আবু হানিফ বলেন ২২হাত ভিটের জন্য দুই সপ্তাহে ৬৫হাজার টাকা ভাড়া ১২হাজার টাকা পানির বিল এবং প্রতিদিন ১২’শ টাকা বিদুৎ বিল দিয়ে লোকশানের মুখে আছি। ভাই এখানে এত বেশি ভিট ভাড়া যা দেশের কোথাও নাই। একদিকে অবরোধের কারনে মুসল্লি কম অপরদিকে ভিট ভাড়া বেশি। আমাদের অবস্থা করুন। এব্যাপারে ঠিকাদার আওমীলীগ নেতা মিনু বলেন, সবাইতো ভিট ভাড়া ঠিক মতো দেয় না। তাছাড়া  পুলিশ ও বিভিন্ন নেতাকর্মীদের একটা খরচ দিতে হয়।    
এদিকে খাবারের দাম বেশিকেন জানতে চাইলে রুটি খোরশেদ বলেন ইজতেমা উপলক্ষে দোকান ভাড়া অনেক বেশি তাই খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছি। আগত এক  মুসল্লি আমজাদ আলী বলেন প্রশাসনিক কোন ব্যবস্তা না থাকায় ইজতেমায় সব জিনিসের দাম বেশি ।  এব্যপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নœান বলেন এটা মন্নু ও অলম্পিয়ার জায়গা তাই মন্নু ও অলম্পিয়া কর্তৃপক্ষ এবিষয়টি না দেখলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেই।